ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা তেল

অ্যালোভেরা তেল প্রকৃতির জাদু

অ্যালোভেরা (Aloe Vera)  প্রকৃতির এক অসাধারণ দান। অ্যালোভেরা অনেকের কাছে আবার ঘৃতকুমারী হিসেবে পরিচিত। তবে যে যেই নামেই একে চিনি না কেন এর ইতিহাস কিন্তু বেশ প্রাচীন। ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই। এমন কি মিশরীয় সভ্যতায় ক্লিওপেট্রার রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রিক ও রোমান চিকিৎসকরাও একে ত্বক ও ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহার করতেন। হাজার বছর ধরে ভারত, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যে এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা দুর্দান্ত কাজ করে। যদিও এ কাজে আমরা অসংখ্য ব্রান্ডের নানা কসমেটিকস সামগ্রী ব্যবহার করছি প্রতিনিয়ত। কিন্তু একই সাথে আমাদের এটিও মনে রাখতে হবে কসমেটিকস গুলো কিন্তু একই সাথে বিভিন্ন রাসায়নিক বা ক্যামিকাল বহন করে যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার সহ নানা ঝুঁকি তৈরি করে। তাই আপনি যদি  প্রাকৃতিক কোনো সমাধান খুঁজে থাকেন, যা একসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং চুলকে করবে স্বাস্থ্যকর, তাহলে এই তেলটি হতে পারে আপনার পারফেক্ট চয়েস। এটি কেবল রুক্ষ চুল কিংবা শুষ্ক ত্বকের যত্নেই সীমাবদ্ধ নয় ব্রণ, খুশকি, বলিরেখা কমানো, এমনকি সানবার্নের সমস্যা দূর করতেও সমান কার্যকর।

চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার কার্যকারিতা।

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা তেল

১.ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে অ্যালোভেরা তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে শুষ্কতা দূর করে এবং দীর্ঘ সময় ত্বককে আর্দ্র রাখে। বিশেষ করে শীতকালে ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলে এটি খুব কার্যকর।

২. ব্রণ ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য অ্যালোভেরা তেল হতে পারে এক দুর্দান্ত সমাধান। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা জীবাণু ধ্বংস করে এবং নতুন ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে পুরনো দাগও হালকা হয়ে আসে।

৩. রোদে পোড়া ত্বকের আরামদায়ক সমাধান অ্যালোভেরা তেল ত্বকের জ্বালা কমায়, সানবার্নের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং দ্রুত আরাম দেয়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি কার্যকর একটি সমাধান।

৪. বয়সের ছাপ কমায় বয়সের ছাপ, বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমাতে অ্যালোভেরা তেল অসাধারণ কাজ করে। এটি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে এবং তারুণ্য বজায় রাখে।

ত্বকে ব্যবহারের উপায়

১. সরাসরি ত্বকে ম্যাসাজ করুন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা অ্যালোভেরা তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি সারারাত ত্বককে পুষ্টি জোগাবে এবং সকালে ত্বক থাকবে কোমল ও উজ্জ্বল।

২. ব্রণের জন্য স্পট ট্রিটমেন্ট তুলোর মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যালোভেরা তেল নিয়ে শুধু ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন। এটি দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে।

৩. ফেসপ্যাক তৈরি করুন

অ্যালোভেরা তেলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি দাগ দূর করবে।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা তেল

১. চুলের গোড়া মজবুত করে অ্যালোভেরা তেল চুলের শিকড়কে মজবুত করে, চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

২. খুশকি দূর করে অ্যালোভেরা তেলের অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে।

৩. চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের  কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের কারণে, ধীরে ধীরে চুল প্রাণহীন হয়ে যায়। অ্যালোভেরা তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল নরম, মসৃণ ও ঝলমলে হয়।

চুলের যত্নে ব্যবহার করার উপায়

১. গরম তেল ম্যাসাজ হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

২. কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন ,শ্যাম্পুর পর কয়েক ফোঁটা অ্যালোভেরা তেল হাতে নিয়ে চুলে লাগান। এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং চুল আরও ঝলমলে দেখাবে।

৩. হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন ডিম ও নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা তেল মিশিয়ে ,হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন। এটি চুলের গভীরে পুষ্টি জোগাবে এবং চুল হবে আরও স্বাস্থ্যকর।

কেন অ্যালোভেরা তেল বেছে নেবেন?

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এত তেল থাকতে কেন অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করবেন? কারণ, এটি একেবারেই প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই। অনেক দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও যখন কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না, তখন এই সহজলভ্য উপাদানটি আপনার সৌন্দর্যের গোপন অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

অ্যালোভেরা তেল সহজলভ্য, দামেও সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি ব্যবহার করলে অসাধারণ ফল পাওয়া যায়। যারা ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, তাদের অবশ্যই এটি ব্যবহার করা উচিত।

সতর্কতা

যদিও এটি প্রাকৃতিক, তারপরও কারও কারও ত্বক সংবেদনশীল হতে পারে। তাই প্রথমবার ব্যবহার করার আগে হাতে বা গলায় একটু লাগিয়ে প্যাচ টেস্ট করুন। যদি লালচে ভাব বা চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

এছাড়া, খাঁটি ও প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে ভালো। বাজারে অনেক ধরনের অ্যালোভেরা তেল পাওয়া যায়, তবে রাসায়নিক মিশ্রিত তেল কেনার আগে সাবধান থাকুন।

ভেজালের ভীড়ে আস্থার নাম গ্রাম্য মেইড এর অ্যালোভেরা অর্গানিক অয়েল

নিজেদের প্রাকৃতিক এবং বিশুদ্ধ দাবি করা পণ্যের অভাব নেই বাজারে। দু:খজনক হলেও সত্য এসকল দাবী অধিকাংশই প্রশ্ন বা সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।  কিন্তু গ্রাম্য মেইড এ আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক পণ্য উৎপাদন করি, যা কোনো রাসায়নিক উপাদান বা কৃত্রিম উপাদান থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।

গ্রাম্য মেইড এর ১০০% প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি অ্যালোভেরা অর্গানিক অয়েল  আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। বিশুদ্ধতা এবং গুণমানের ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দেই না, এবং এর ফলে এটি একেবারে নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।

গ্রাম্য মেইড এর অ্যালোভেরা অর্গানিক অয়েল  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও ঘরে বসে অর্ডার করতে ভিজিট করুন গ্রাম্য মেইড এর অনলাইন শপে।

রূপচর্চায়, নির্ভরতায় প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা তেল

ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে আমাদের কত কিছুই না করতে হয়! কিন্তু যদি একটিমাত্র উপাদানেই সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়, তাহলে কেন বাড়তি ঝামেলা? অ্যালোভেরা তেল ত্বককে করবে উজ্জ্বল, চুলকে করবে মজবুত । আর আপনাকে এনে দেবে এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নিয়মিত ব্যবহার করলে পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন! তাই আজই শুরু করুন আপনার নতুন স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার রুটিন অ্যালোভেরা তেলের সঙ্গে।

আরো জানতে ভিজিট করুন গ্রাম্যমেইড ওয়েবসাইটে

👉 www.grammomade.com

01778-264369

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
Scroll to Top